সরস্বতী পূজা 2024 কবে হবে, জানুন পূজার তিথি ও পুজোর মন্ত্র .

হিন্দুদের এবং বিশেষ করে বাঙালীদের জন্য সরস্বতী পূজা  (Saraswati Puja) অনেক প্রিয় উৎসব । বিশেষত শিক্ষার্থীদের জন্যে সরস্বতী পুজো খুবই স্পেশাল যার জন্য সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন। সকাল থেকেই উপোস থেকে দেবী সরস্বতীর উদ্দেশ্যে অঞ্জলি দেওয়া হয়। সবাই বিদ্যা , বুদ্ধি , জ্ঞানের উপলব্ধির প্রার্থনা করেন সরস্বতী মায়ের কাছে । মূলত বসন্ত পঞ্চমীতে মা সরস্বতীর পুজো হয়। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে মা সরস্বতীর অবতরণ হয়েছিল। তাই প্রতি বছর মাঘ মাসের বসন্ত পঞ্চমীতে পুজো  হয়। এটাও ধারণা করা হয় যে, এই দিনে মা সরস্বতীর আরাধনা করলে মা লক্ষ্মী ও মা কালীর উভয়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

সরস্বতী পূজা

এবার সরস্বতী পুজো পড়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪(14 Feb, 2024) এবং বাংলায় ১ ফাল্গুন ১৪৩০, বুধবার। সরস্বতী পুজো ২০২৪-এর পঞ্চমী তিথি ২৯ মাঘ ঘ ৮।১৩ মিনিট (13 Feb, 8:13 PM)  থেকে ১ ফাল্গুন রাত্রি ঘ ৬।৫ মিনিট (14 Feb, 6:05 PM) পর্যন্ত থাকবে পঞ্চমী তিথি ।

সরস্বতী পূজার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র

ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে ,

কুচযুগ-শোভিত মুক্তাহারে।

বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে,

ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে ।।

নমঃ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং

সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।

বেদ বেদাঙ্গ বেদান্ত বিদ্যা স্থানেভ্য এব চ।

এষ স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি সরস্বত্যৈ নমঃ ।। 

– এই মন্ত্রে তিনবার অঞ্জলি দিতে হয়।

সরস্বতী পূজার প্রণাম মন্ত্র

নমো সরস্বতী মহা ভাগে
বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী
বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে ।।
জয় জয় দেবী চরাচরসারে,
কুচযুগশোভিত মুক্তা হারে।
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে,
ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে ।।

সরস্বতীর স্তব মন্ত্র : 

শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা
শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা। 
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারব‌ভূষিতা। 
বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ
পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা
স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্। 
যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।

পুজোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী

সরস্বতী পূজা

পঞ্চমীর দিন সকালেই মায়ের পুজো সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত নিয়মে পুজোর জন্য বেশ কিছু  সামগ্রির প্রয়োজন হয়। যেমন দুধ, ঘি, আমের মুকুল, অভ্র-আবির, দোয়াত -খাগের কলম, বেলপাতা, পলাশ ফুল, বই ও বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্রাদি। এছাড়াও বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল ও মালা প্রয়োজন হয় । প্রচলিত লোকাচার অনুযায়ী , সরস্বতী পুজো সম্পন্ন হওয়ার  আগে পর্যন্ত বড়ই বা কুল খেতে নেই। যদিও এর পেছনে রয়েছে আরও অনেক ব্যাখ্যা। তবে স্কুল কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাগদেবীর আরাধনার করার পরে অঞ্জলি দিয়ে ছাত্রছাত্রীরা বড়ই খাওয়ার প্রথা অনেক আগে থেকে চলে আসছে । 

দেখুন কিছু অন্য পোস্ট :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *